# | শিরোনাম | স্থান | কিভাবে যাওয়া যায় | যোগাযোগ |
---|---|---|---|---|
১ | আলীর সুড়ঙ্গ |
আলীকদম উপজেলা সদর থেকে ০৩ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণে ‘আলীর পাহাড়’ অবস্থিত। এ পাহাড়েই রহস্যজনক ০৪টি সুড়ঙ্গের অবস্থান। শুষ্ক মৌসুমে অনেক দেশী-বিদেশী পর্যটক আলী সুড়ঙ্গ দর্শনে আসেন। ২০১২ সালে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সুড়ঙ্গ এলাকায় ০১টি গোলঘর ও যাতায়াতের রাস্তার নির্মাণ করা হয়। |
আলীকদম থেকে টমটমে করে আলীর সুড়ঙ্গে যাওয়া যায়। |
|
২ | ডিম পাহাড় |
বান্দরবানের আলীকদম এবং থানচি থানার মাঝখানে ডিম পাহাড়ের অবস্থান। বাংলাদেশের সবচেয়ে উচু সড়ক হিসাবে পরিচিত থানচি-আলীকদম সড়ক। এই সড়ক পথেই ডিম পাহাড় (Dim Pahar) এর অবস্থান। অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় ভ্রমণকারীদের কাছে এই রাস্তা এবং ডিম পাহাড় বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং বৈচিত্র্যময় আদিবাসী জীবনধারায় পরিপূর্ণ ডিম পাহাড় দিয়েই আলীকদম ও থানচি থানার সীমানা নির্ধারন করা হয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ৩৩ কিলােমিটার দীর্ঘ আলীকদম-থানচি সড়ক নির্মাণের ফলে বর্তমানে ডিম পাহাড়ে গমন সহজতর হয়েছে। আলীকদম হতে ক্রমশ উঁচু হতে হতে প্রায় ২৫০০ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত এই পাহাড়ী পথ দিয়ে চলতে চলতে | প্রকৃতির যে রূপ চোখে পড়ে তা ভাষায় ব্যাখ্যা করা কঠিন। ইতিহাসের সাক্ষী হােক কিংবা সৌন্দর্য দর্শন ভ্রমণকারী এখান থেকে ফিরে যান অন্যরকম আত্মতৃপ্তি নিয়ে। |
আলীকদম থেকে মোটরসাইকেল বা চাঁদের গাড়ি ভাড়া করে ডিম পাহাড় যাওয়া যায়। |
|
৩ | দামতুয়া ঝর্ণা |
বান্দরবান পাবর্ত্য জেলা আলীকদম উপজেলায় এ ঝর্ণাটি অবস্থিত। দামতুয়া ঝর্ণাটি স্থানীয় মুরংদের কাছে তুক অ ঝর্ণা নামে পরিচিত। স্থানীয় ভাষায় তুক-এর অর্থ হল ব্যাঙ, আর অ এর অর্থ হল ঝিরি বা ঝর্ণা (তার মানে হল ব্যাঙের ঝর্ণা) আবার এই ঝর্ণাটি আবার সেখানকার আদিবাসীদের লামোনই ঝর্ণার নামেও পরিচিত। লামো অর্থ চাঁদ আর নই অর্থ হল আলো (চাঁদের আলো)। ঝর্ণাটি দু-পাশ দিয়ে পানি পরার কারণে অনেক সুন্দর হয়ে থাকে। এই ঝর্ণাটি বর্ষা আসলে চির যৌবনা হয়ে উঠে। |
আলীকদম বাস টার্মিনাল থেকে জীপ গাড়ী বা চাঁদের গাড়ি ভাড়া করে যাওয়া যায়। আর যদি জনবল কম থাকে তাহলে বাস টার্মিনাল থেকে অটোরিক্সা করে পান বাজার উদ্দেশ্যে রওনা করতে হবে। পান বাজার পৌঁছলে ভাড়ায় চালিত অনেক গুলো মোটরসাইকেল সহজেই পেয়ে যাবেন। স্থানটি আলীকদম- থানচি সড়কের ১৭ কিলোমিটারের আদু মুরুং পাড়া নেমে সেখান থেকে স্থানীয় মুরুং গাইড নিয়ে উত্তর দিকে প্রায় ১.৫ ঘন্টার মত পায়ে হাঁটতে হবে। |
|
৪ | মারাইংতং পাহাড় |
বান্দরবান জেলার আলীকদম উপজেলায় অবস্থিত একটি পাহাড়ের নাম মারাইং তং (Marayan Dong)। এই পাহাড় আরও কয়েকটি নামে পরিচিত যেমন; মারায়ান তং, মারায়ং তং, মেরাই থং জাদি, মারাইং ডং ইত্যাদি। প্রায়। ১৬৪০ ফুট উচ্চতার এই পাহাড়ের চূড়ায় আছে একটি বৌদ্ধ উপাসনালয়। খােলা প্রকৃতির মাঝে বৌদ্ধের বিশাল মূর্তি এই জায়গাটিকে আরও গাম্ভীর্যময় করে তুলেছে। দিগন্তজোড়া পাহাড় আর নিচে সাপের মতাে বয়ে চলা মাতামুহুরী নদী, ফসলের ক্ষেত সবকিছু মিলিয়ে এ যেন এক কল্পনার রাজ্য। ত্রিপুরা, মারমা, মুরং সহ বেশিকিছু আদিবাসীর বসবাস এই মারায়ন তং পাহাড়ে। পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে থাকা আদিবাসী পাড়াগুলাে বিশেষ বৈচিত্রতা যুক্ত করেছে আলীকদমের এই পাহাড়ি সৌন্দর্যে। পাহাড়ের ওপর নির্ভরশীল মানুষের জীবনযাত্রা এবং নিখাদ প্রকৃতি দুচোখ ভরিয়ে দেয় এখানে আগত পর্যটকদের। |
আলীকদম থেকে আবাসিক রাস্তার মাথা গিয়ে সেখান থেকে গাইড ঠিক করে পাহাড়ে উঠা যাবে। তবে এখন সেখানে রাত্রী যাপন নিষিদ্ধ। সব দর্শনার্থীকে সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে স্পট ভ্রমণ শেষ করতে হবে এবং ৬টার আগে অবশ্যই ঐ স্থান ত্যাগ করতে হবে। |
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস