আলীকদম উপজেলার এক অতুলনীয় ঝর্ণার নাম ‘রূপমুহুরী’। উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে পোয়ামুহুরী এলাকায় অবস্থিত এ রূপমুহুরী ঝর্ণা দেখতে প্রতিবছর বর্ষা ও শীত মৌসুমে পর্যটকদের আগমন বাড়ছে। প্রায় ২০০ ফুট উঁচু পাহাড় থেকে ঝরে পড়ছে রূপমুহুরী ঝর্ণার শীতল জলরাশি। প্রকৃতির বুকে জন্ম নেয়া এ অপরূপ ঝর্ণার শীতল জল পর্যটকদের সহজের কাছে টানে।
পার্বত্য আলীকদম উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে রূপমুহুরী ঝর্ণা। প্রাকৃতিক এ ঝর্ণা দেখতে হলে যেতে হয় পোয়ামুহুরীতে। পোয়ামুহুরী বাজার থেকে প্রায় ৫শ’ গজের মধ্যেই ‘রূপমুহুরী ঝর্ণা’র অবস্থান। ঝম্ঝম্ কলরবে যেন ধেয়ে আসছে ‘রূপমুহুরী ঝর্ণা’র স্বচ্ছজল। প্রায় ২০০ ফুট উঁচু পাহাড় থেকে ঝরে পড়া এ ঝর্ণার পানিতে সূর্যের আলোয় তৈরী হয় এক মনোমুগ্ধকর কাব্যিক পরিবেশ। দেখা মেলে এক অমলনি দৃশ্য।
সবুজ পাহাড়ের কোলে লোকচক্ষুর অন্তরালে এ ঝর্ণাটি পর্যটকদের কাছে এখনো অপরিচিতই রয়ে গেছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কিছু কিছু পর্যটক ছুটে আসছেন নৈসর্গিক প্রাকৃতির বুকে ঝর্ণার অপরূপ শোভা দেখতে। দেশের প্রথম এভারেস্ট বিজয়ী মুসা ইব্রাহিমসহ একাধিক পর্যটক টীম এ ঝর্ণা পরিদর্শন করেছেন। বর্ষা মৌসুমে মাতামুহুরী নদীর বুকে ইঞ্জিন চালিত নৌকা ও আর শুষ্ক মৌসুমে ডিজিটাল বোটে (পেট্টোল ইঞ্জিন চালিত ছোট নৌকা) কিংবা পায়ে হেঁটে পোয়ামুহুরীতে গেলে দেখা মেলে রূপমুহুরী ঝর্ণার।
ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জামাল উদ্দিন বলেন, রূপমুহুরী ঝর্ণা হতে পারে পর্যটনের সম্ভাবনাময় স্পট। পাশাপাশি রূপমুহুরী ঝর্ণার উপরে পাহাড়ের ঝিরিতে বাঁধ দিয়ে লেক তৈরী ও কটেজ নির্মাণ করে করে পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যেতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে সরকারী বেসরকারী উদ্যোগ প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
যেভাবে যেতে হবে:
রূপমুহুরী ঝর্ণা দেখতে হলে প্রথমে আসতে হবে আলীকদম। রাজধানী ঢাকার কমলাপুর, সায়েদাবাদ, ফকিরাপুুল, কলাবাগান থেকে সরাসরি বাসযোগে চকরিয়া স্টেশনে নামতে হবে। চকরিয়া স্টেশন থেকে ৬০ টাকার ভাড়ায় বাস কিংবা জীপযোগে আলীকদম স্টেশন।
আলীকদম স্টেশন থেকে রিক্সা কিংবা টমটমযোগে স্থানীয় রেষ্ট হাউজে রূম ভাড়ায় পাওয়া যায়। সকালে মাতামুহুরী ব্রিজ এলাকা থেকে বর্ষায় ইঞ্জিন বোট এবং শুষ্ক মৌসুমে স্পীড বোটে চেপে মাতামুহুরী নদীপথে পোয়ামুহুরীতে যেতে হবে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস